শিরোনাম
কুতুবদিয়া প্রতিনিধি :: | ০৭:৫৯ পিএম, ২০২০-১২-১৯
ভাস্কর্যের সাথে ধর্মে কোন সাংঘর্ষিক অবস্থান নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী
লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
গতকাল শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে ‘চট্টগ্রাম
মহানগর- বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা’ আয়োজিত জিপিএ ৫ প্রাপ্ত কৃতীদের সংবর্ধনা
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ইসলামে ভাস্কর্য ভাঙার কথা কোথাও নেই। আমাদের প্রিয়
নবী (দে.) যখন প্রিয় জন্মভুমিতে আসলেন তখন কাবা শরীফে তিনশো ষাটটি মূর্তি ছিল।
নবী (দ.) কাবা শরীফে প্রবেশ করে নামাজ আদায় করতে চেয়েছিলেন। নামাজের সামনে
মূর্তি থাকায় নামাজটা সহীহ হবে না সেজন্য সাহাবীদের বলেছিলেন মূর্তিগুলা সরাতে। পাথরের মূর্তিগুলো এমনিতে সরানো সম্ভব ছিল না বলে ভেঙে সরাতে হয়েছে। এই একটি ঘটনা ছাড়া ভাস্কর্য বা মূর্তি ভাঙার আর কোন ঘটনা নেই। সৌদি আরব-সহ পৃথিবীর সকল মুসলিম রাষ্ট্রে ভাস্কর্য আছে। কট্টর ইসলামী রাষ্ট্র ইরানেও ভাস্কর্য আছ। এমনকি পাকিস্তানের কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নার ভাস্কর্য আছে। পাকিস্তাানে বেনজীর ভুট্টোর ভাস্কর্য আছে। ভাস্কর্যরে সাথে ধর্মের কোন
সাংঘর্ষিক অবস্থান নেই। আমাদের দেশে তথাকথিত ধর্ম ব্যবসায়ী এই মৈালবাদীরা মানুষের মধ্যে ভুল ব্যাখা দিয়ে ফায়দা লুটতে চায়। এসবে সতর্ক থাকতে হবে। আমি আশাকরি আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মা এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবে। শ্রদ্ধা অর্জন করতে হয়, শ্রদ্ধা চাপিয়ে দেওয়া যায় না উল্লেখ করে আ. লীগের
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিছুদিন আগে দেখলাম একজন বললো আলেমদের সন্মান করে
কথা বলতে। আলেমদের তো সন্মান করেই কথা বলতে হয় আর আমরা তো সেটাই করি। আমাদেও বাবা-মা তো শিখিয়েছেন যে কোন মুরব্বীকে সন্মান করার। আর যে আলেমরা ধর্ম
প্রচার করে ধর্ম নিয়ে গবেষণা তাদের সন্মান করা তো মুসলমান হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব কিন্তু কোন আলেমদের? ধর্ম ব্যবসায়ী আলেম? যারা ওয়াজের নামে নানা চটকদার কথাবার্তা বলছেন? একজন আরেকজনের উদ্দেশ্যে বলেন যে, ওরে বাটপার ওরে চিটার- এটা কী আলেমের কথা? এভাবে বলছেন একজন আরেকজন আলেমের বিরুদ্ধে। একজন ওয়াজে বলছেন বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস হবে না। মুসলমানের দেশে করোনা ভাইরাস হতে পারে না। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস হবে না, হবে না, হবে না। যদি হয় আমি কসম করে বলছি কোরআন মিথ্যা হবে। এটা কোন আলেমদের কথা? মানুাষের তো করোনা ভাইরাস হয়েছে এখন কী বলবেন? এধরণের যারা মিত্যা কথা বলে তাদেরকে কীভাবে সন্মান করতে হবে তা আমার জানতে ইচ্ছা করে। শ্রদ্ধা অর্জন করতে হয়, শ্রদ্ধা চাপিয়ে দেওয়া যায় না। যারা ধর্মের কথা বলে অধর্মের কাজ করে তাদেরকে কেউ সন্মান করে না।
হানিফ বলেন, আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছিল জাতীয় চার মূলনীতির উপর ভিত্তি
করে। বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা। এবং সেই চার বিষয়ে উপর ভিত্তি করে আমাদের সংবিধান রচিত হয়েছে। এই চার ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে থাকার সংবিধান কিন্তু রক্তে রঞ্জিত সংবিধান। অতএব বঙ্গবন্ধু , বাংলাদেশ এবং সংবিধান এগুলোকে অসন্মান করার কোনো সুযোগ নেই। এই তিনটা ব্যাপারে কোন আপস হতে পারে না,বাঙ্গালি জাতি করতে পারে না। যারা কথিত সন্তান তারা ছাড়া। শিক্ষার্থীরা এই তিনটা বিষয়ে কম্প্রমাইজ করবে না আমার বিশ্বাস।
জিপিএ ৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজকে যারা জিপিএ ৫ পেয়ে এখানে এসেছেন আপনারাই আমাদের আগামীর ভবিষৎ। এখান থেকে ডাক্তার হবে,ইঞ্জিনিয়ার হবে বড় বড় স্কলার হবে। এখান থেকে রাজনীতিবিদ হতে পারেন, সমাজসেবক হতে পারেন। চাকরি করে সচিব হতে পারবেন বা সর্বোচ্ছ রাজনীতিবিদ হওয়ার ও সুযোগ থাকবে। তোমরা যারা শিক্ষার্থী তোমরাই আগামী ভবিষৎ, তোমরাই আগামী দিনের কান্ডারী সেকারণে আমার একটি ছোট্ট পরামর্শ-লেখা পড়ে করে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। কিন্তু তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন আদর্শবান মানুষ হওয়া। আমাদেরকে ছোটো বেলায় মা-বাবা বলতো ভালোমতো পড়ালেখা করে বড় হলে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবা। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হলে কী লাভ আছে। ডাক্তার হলে ভালো করে থাকতে পারবা। গাড়ি বাড়ি হবে, অর্থশাল- বিত্তশালী হবে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হলে। ছোটবেলা থেকে আমাদের বাবা মা আমাদেরকে এভাবে গ্রোআপ করেছে। আমরা মনে হয় যে এখনো মা-বাবারা এভাবে গ্রোআপ করে ছেলে সন্তাদের। তবে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়াররাই কী সমাজে সবচেয়ে সুখী বা ভালো মানুষ হিসেবে বিবেচিত? অর্থবান বা বিত্তশালী হলেই কিন্তু সুখী হওয়া যায় না। সবচেয়ে সুখী মানুষ হচ্ছে যারা আদর্শ মানুষ। মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলতে হবে। যার মধ্যে থাকবে সততা, যার মধ্যে থাকবে নৈতিকতা , যার মধ্যে থাকবে মানবিক মূল্যবোধ। এটা ছাড়া একজন মানুষ ডাক্তার হোক, ইঞ্জিনিয়ার হোক, সচিব হোক বা বিত্তশালী হোক, তার কোন মূল্য নেই সমাজে।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধুর শিশু কিশোর মেলার চট্টগ্রাম মহানগর
সভাপতি সাজ্জাত হোসেন। সংগঠনের সহ সভাপতি জাওইদ চৌধুরী ও এম শাহাদাৎ নবী খোকার যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান চৌধুরী, নগন আ. লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বীর সমুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মঈনুদ্দীন হাসান চৌধুরী, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার তৌফিকুর রাহমান, কেন্দ্রীয় আ. লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মাহমুদ সালাউদ্দীন চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুণ লুবনা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য দেবাশীষ পাল দেবু, নগর যুবলীগ নেতা হেলাল উদ্দীন।
বক্তব্য রাখেন, কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহসীন ,কেন্দ্রীয় যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মো. মহিউদ্দীন,সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিবু প্রসাদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম, মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার পলাশ।
স্টাফ রিপোর্টার : : নতুন করে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না। সলিমপুরে পাহাড় ব্যবস্থাপনার জন্য, কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খ...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : : হানিফ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুটি সিএনজি অটোরিকশা, মিনিবাস ও মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : : বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে। ব...বিস্তারিত
আমাদের ডেস্ক : : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ১...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘির পাড়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ৩৮৮তম শাখার উদ্বোধন করা হয়ে...বিস্তারিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (অনার্স-মাস্টার্স) মাদ্রাসার ৪০তম বার্ষিক সভা ও নির্বাচিত বেসরকারী মাদ্রা...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited